Looking For Anything Specific?

ads header

কেন দ্বীপের নাম "আটলান্টিস"? (#আটলান্টিস_রহস্য-০৩)


হেই বন্ধুরা, আটলান্টিস নিয়ে রহস্যের কোনো শেষ নেই। আটলান্টিস হলো বহুল গবেষিত একটি প্রাচীন, কিন্তু উন্নত দ্বীপ। এই দ্বীপের মালিক কে ছিল? কেই বা এই দ্বীপের প্রজা ছিল? আজকের পর্বে এসব নিয়ে আলোচনা করা হবে।

তো বন্ধুরা স্বাগতম তোমাদের “মিরাজ অজানা”র আরও একটি নতুন পর্বে।

মিরাজ অজানা”য় চলছে “আটলান্টিস_রহস্য” এর সিরিজ।

যারা তোমরা এর আগের ২ টা পর্ব দেখনি, তারা অবশ্যই ওই আগের ২ টা পর্ব দেখে আসবে। আগের ২ টা পর্বে আমি “আটলান্টিস” এর ধারণা কিভাবে হলো? কে প্রথম এই আটলান্টিস এর ধারণা দেন? যিনি দিয়েছেন, তিনিই বা কি করে জানলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর সম্পর্কে বিস্তারিত লিখেছি।

তোমাদের সুবিধার্থে আমি আগের ২ টা পর্বের লিংক নিচে দিয়ে দিচ্ছি। ইচ্ছে হলে দেখে আসতে পারো।

১ম পর্ব ২য় পর্ব

তো চল শুরু করি আজকের পর্ব।

আমি আগেই বলেছি আটলান্টিস সম্পর্কে প্রাচীন যে বইয়ে এর খোঁজ মিলে তার নাম “টাইমাউস এন্ড ক্রাইটিয়াস”। আর এটা লিখেছিলেন বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক “প্লেটো”। তিনি তাঁর ডায়ালগে এই “আটলান্টিস” সম্পর্কে যে ব্যাখ্যা লিখেছেন তা নিচে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা হলোঃ

এটা তখনকার কথা যখন সমুদ্রের দেবতা ছিলেন “পোসাইডন”। তিনি সমস্ত সমুদ্রের দেবতা ছিলেন। তিনি বাস করতেন আটলান্টিক মহাসাগরে। অনেক বছর ধরে তিনি সমুদ্রে রাজত্ব করতেন। সবকিছুই ছিল তাঁর। কিন্তু সবকিছু থেকেও কি যেন ছিল না তাঁর। তিনি ঠিক করলেন বিয়ে করবেন। সে জন্য পাত্রী খুজতে লাগলেন। কিন্তু সমুদ্রে তাঁর পছন্দ মতো কোনো পাত্রীই তিনি পেলেন না। তাই তিনি ঠিক করলেন মর্ত্যের মধ্যে কাউকে তিনি বিয়ে করবেন। সেই অনুযায়ী খোঁজ চলতে লাগলো। অনেকে খুঁজাখুঁজির পর একজন বিশ্বসুন্দরী পাত্রী তিনি খুঁজে পেলেন।

সেই সুন্দরী নারীর নাম ছিল “ক্লিওটার”। এই ক্লিওটার এর সাথে তাঁর বিয়ে হয়।

কিন্তু একটা সমস্যার সৃষ্টি হয়। ক্লিওটা তো তাঁর মতো সমুদ্রে থাকতে পারবে না। তাহলে তাঁরা কি করে একসাথে বাস করবে?

অনেক ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত হলো আটলান্টিস মহাসাগরের পাশে যে বিশাল ভুখন্ড আছে সেখানে একটি নগরী তৈরি করা হবে। ওই ভু-খন্ডকে অনেকেই মনে করে আটলান্টিক মহাদেশ।

তো ওই আটলান্টিক মহাদেশ বা যেই নামেই হোক না কেন, তার ঠিক মাঝখানে ছিল একটি বিশাল পাহাড়। 


ওই পাহাড়ের চূড়ায়/মাথায় “পোসাইডন” তাঁর স্ত্রীর জন্য একটি সুন্দর, অপরূপ প্রাসাদ তৈরি করেন।

সেখানে তাঁরা সুখে-শান্তিতে বাস করত। কোনো চাহিদাই তাঁদের অপূর্ণ ছিল না। শুধু সন্তানের চাহিদা ছিল। একসময় তাঁদের সন্তানও হয়।

ক্লিওটার গর্ভে ৫ জোড়া জমজ সন্তান জন্ম নেয়।

তাঁদের আর আনন্দের কোনো সীমা ছিল না। ১০ টি সন্তান নিয়ে তাঁরা আনন্দে বাস করতে লাগলো। এভাবে ছোট সন্তানেরা একসময় বড় হয়ে যায়। তাঁদের মধ্যে শাসনভারের ক্ষমতা নিয়ে হিংসার সৃষ্টি হয়।

পোসাইডন” তাই সবাইকে ওই দ্বীপের বিভিন্ন অংশের শাসনভার দেওয়ার কথা চিন্তা করলেন।

যেই ভাবনা সেই কাজ। তিনি সব সন্তানদের দ্বীপের বিভিন্ন অংশ ভাগ করে দিলেন। আর তাঁর বড় জমজ সন্তানদের বড়জনকে এই দ্বীপের মূল অংশের শাসনভার দিলেন। তাঁর সেই বড় সন্তানের নাম ছিল অ্যাটলাস। অ্যাটলাস এই দ্বীপের মূল অংশের দায়িত্ব পান। তাঁর পিতার পরে তিনি এই সমস্ত দ্বীপের মূল শাসনভারের দায়িত্ব পান। ফলে তিনি এই সমস্ত দ্বীপের মূল শাসনকর্তা হয়ে যান।

যার ফলে তাঁর নামানুসারে এই দ্বীপের নাম হয় আটলান্টিস। 

তো বন্ধুরা এবার জানতে পারলে তো এই দ্বীপের নাম কেন আটলান্টিস রাখা হয়েছে? আর কে এই দ্বীপকে শাসন করত?

কিন্তু একটা প্রশ্ন এর উত্তর এখনো দেওয়া হয় নি।

কে এই দ্বীপের প্রজা ছিল? এই প্রশ্নের উত্তর এখনো দেওয়া হয়নি।

এই প্রশ্নের উত্তর জানতে পরের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। তো বন্ধুরা সেই পর্বের জন্য অপেক্ষা কর, আর আমাদের অন্যান্য রহস্যের পর্বগুলো পড়ে জ্ঞান অর্জন কর।

ধন্যবাদ সকলকে।

তথ্যসূত্রঃ আটলান্টিস উইকিপিডিয়া

ইমেইজ ক্রেডিটঃ pexels. com

ইমেইজ ডিজাইনঃ canva.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ