আজকে আমি যে বিষয়গুলো আলোচনা করব তা হলোঃ এই ফুলকে পৃথিবীর কোন কোন অঞ্চলে পাওয়া যায়? এই ফুলকে কেন্দ্র করে কোন কোন পর্যটনশিল্প গড়ে উঠেছে? এখান থেকে কি পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হয়?
তো চল আর দেড়ি না করে মূল পর্বে চলে যাওয়া যাক।
১ম পর্বেই বলেছিলাম এই ফুলকে দেখতে হলে বেশীদূরে নয়, আমাদের প্রতিবেশী দেশ ভারতে গেলেই চলবে। কারণ, ভারতেই এই ফুলের আধিক্য দেখা যায়। তবে ভারতের সব জায়গায় নয়। তামিলনাড়ু এবং কেরালার আশেপাশে এই ফুল প্রচুর পরিমাণে দেখা যায়। এখানে যেসব জেলা আছে, তার মধ্যে মুন্নার জেলার একটি পাহাড় আছে। নাম নীলগিরি পাহাড়। এই পাহাড়েই নীলকুরিঞ্জি ফুল সবচেয়ে বেশী ফোটে।
আসলে এই পাহাড়ের নাম নীলগিরি হওয়ার একটা কারণ আছে। এখানে একসময় হঠাৎই অনেক নীল রঙের ফুলের দেখা মিলে। তখন রঙের নামানুসারে ফুলের নাম দেওয়া হয় নীলকুরিঞ্জি। যখন এই পাহাড়ে নীলকুরিঞ্জি ফুল ফোটে, তখন পাহাড়ের ঢালে ঢালে শুধু নীলেরই বাহার দেখা যায়। ফলে এই পাহাড়ের নাম পড়ে যায় নীলগিরি।
সর্বশেষ ২০১৮ সালে এই নীলগিরি পাহাড় নীলকুরিঞ্জি ফুলে ফুলে ঢেকে গিয়েছিল। ২০০৬ সালেও এমনই নীল রঙের ফুলে ঢেকে গিয়েছিল এই নীলগিরি পাহাড়। এরপরে আবার ২০৩০ সালে, অর্থাৎ, ১২ বছর পর দেখা যাবে এই নীলকুরিঞ্জি ফুলের সমারোহকে।
আজ থেকে ১৬ বছর আগে ২০০৬ সালে তামিলনাড়ু প্রদেশ। এখানকার কোদাইকানালের পালনি পাহাড়ে অনেক নীলকুরিঞ্জি ফুল ফুটেছিল। এতো বেশী ফুল ফুটেছিল যে, একে রেকর্ড সংখ্যক মনে করা হয়। এখানকার এক উপত্যকায় এই ফুলের চাদর মিলেছিল। উপত্যকার নাম টারনাস ভ্যালি।
আবার এরকম একটি জায়গা হচ্ছে কেরালার মুন্নার থেকে কোদাইকানালের দিকের সড়কপথ। এই সড়কপথের কেরালা-তামিলনাড়ু সীমান্তের টপ স্টেশন নামক একটি জায়গা আছে। এই জায়গার প্রধান আকর্ষণই হলো নীলকুরিঞ্জি।
0 মন্তব্যসমূহ