Looking For Anything Specific?

ads header

বিধবার শাস্তি 'আঙ্গুল কাটার রীতি'

বন্ধুরা তোমরা কি ‘সতি দাহ’ প্রথা সম্পর্কে জানো? নিশ্চয়ই অধিকাংশই বলবে হ্যাঁ জানি। এই প্রথা একসময়ই সনাতন ধর্মাবলীদের প্রচলন ছিল, যেখানে স্বামী মারা গেলে তার বউকেও জ্যান্ত পুড়িয়ে ফেলা হতো। যাই হোক সেই প্রথা রাজা রামমোহন রায় এর প্রচেষ্টায় দূর হয়েছে ভারতবর্ষ থেকে। 

কিন্তু এরকমই আরেকটা প্রথা হলো আঙ্গুল কাটা প্রথা। এই প্রথার প্রচলন এখনও চালু আছে। 

এই প্রথা প্রচলিত আছে ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশের ‘দানি’ সম্প্রদায়ের লোকদের কাছে।  

যুগে যুগে নারীকে নির্যাতন করার কত টেকনিক, আর কত পদ্ধতি আবিষ্কার করেছে আমাদের এই পুরুষেরা তার কোনো হিসাব নেই। আরবে জাহেলিয়া যুগে কন্যা সন্তানদের জীবন্ত কবর দেওয়া হতো, ভারতে স্বামী মারা গেলে স্ত্রীকেও তার সাথে পুড়িয়ে ফেলা হতো। 

সেরকমই একটা নির্যাতন এখনও হচ্ছে দানি সম্প্রদায়ের মহিলাদের উপর।

নিয়মানুযায়ী যে মহিলার স্বামী মারা যাবে সে স্বেচ্ছায় তার আঙ্গুল কাটবে। কিন্তু কেও কি আর স্বেচ্ছায় আঙ্গুল কাটতে চায়? তাই সদ্য বিধবা নারীদের হাতগুলো শক্ত করে বেধে দেওয়া হয় যেন রক্তের স্রোত বা প্রবাহ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর কুড়াল দিয়ে আঙ্গুল কেটে নেওয়া হয়। এতে নাকি মৃতের আত্মা শান্তি পায়।

আরও অনেক কারণ আছে এই প্রথার সম্পর্কে। ‘আঙ্গুল কাটার রীতি’ এটাতে ক্লিক করলে সেই কারণগুলো জানতে পারবে। 

বন্ধুরা বুঝতেই পারছ কি বর্বর নিয়ম এটা। ইন্দোনেশিয়ার পাপুয়া প্রদেশে গেলে এখনো অনেক নারীকে দেখতে পাবে তোমরা আঙ্গুলবিহীন অবস্থায়। 

যদিও ইন্দোনেশিয়ার সরকার এই বর্বর নিয়মের প্রতি নিশেধাজ্ঞা জারি করেছে, তবু এটা থামে নি।

এই আধুনিক সভ্যতায় এসেও সেই আদিমকালের বর্বর প্রথা চালু রেখেছে এই দানি সম্প্রদায়। 

বন্ধুরা তোমাদের কি মতামত? এই প্রথা কি সঠিক? নাকি এর বিরুদ্ধে জনসচেতন করা উচিত? অবশ্যয় কমেন্ট করে জানাও।

আর এরকম নিত্য নতুন অজানা তথ্য পেতে আমাদের ব্লগটিকে Follow কর।

আজ এই পর্যন্তই 

ধন্যবাদ সকলকে। 


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

2 মন্তব্যসমূহ