Looking For Anything Specific?

ads header

"আটলান্টিস" এর প্রবর্তক কে? (#আটলান্টিস_রহস্য-০২)



আটলান্টিস বিশ্বের একটি মতবিরোধ সৃষ্টি করা সভ্যতা। এই সভ্যতাকে নিয়ে অনেক উপন্যাস, মুভি তৈরি হয়েছে। আটলান্টিস নিয়ে গবেষণারও কোনো কমতি নেই। বিজ্ঞানীরা আজও এর অস্তিত্ব নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করে।

তবে যাই হোক, এই আটলান্টিস সভ্যতাকে কে প্রথম বিশ্বকে জানিয়ে দিয়েছিল, তোমরা কি তা জানো?

যারা অজানা রহস্য পড়তে ভালোবাসো, তাদের মধ্যে অনেকেই হয়তো এ সম্পর্কে অনেক কিছুই জানো। তবে যারা জানো না, তাদের ভয় পাওয়ার কোনো কারণ নেই। আমি তোমাদের সবকিছু সুন্দরভাবে বুঝিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করব।

আমি এই বিষয়ে আগে একটি প্রতিবেদন লিখেছি। তোমরা চাইলে সেটা দেখে আসতে পারো। তোমাদের সুবিধার্থে আমি ওই প্রতিবেদনটার লিংক নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

আগের পর্ব এই মোটা লেখায় ক্লিক করলে আগের পর্বে যেতে পারবে। 

তো বন্ধুরা শুরু করি তাহলে আজকের এই পর্ব।

গ্রীকে দার্শনিকদের অভাব নেই। এই গ্রীক সভ্যতায় অনেক বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে প্লেটো অন্যতম। প্লেটো একজন বিরাট মাপের দার্শনিক ছিলেন। তিনি দার্শনিক সক্রেটিসের ছাত্র ছিলেন। আবার দার্শনিক এরিস্টটল তাঁর ছাত্র ছিল।

প্লেটোর লেখা ডায়ালগ টাইমাউস এন্ড ক্রিটিয়াস এ প্রথম এই হারানো দ্বীপ সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। আজ থেকে প্রায় ২৩৮১ বছর আগে খ্রিস্টপূর্ব ৩৬০ অব্দে লেখা ওই ডায়ালগেই ১ম হারানো দ্বীপ “আটলান্টিস” এর উল্লেখ পাওয়া যায়। আর এই টাইমাউস এন্ড ক্রিটিয়াসই হলো আটলান্টিস সম্পর্কে ধারণা পাওয়ার একমাত্র প্রাচীন উৎস। কেননা এই আটলান্টিস সম্পর্কে প্রাচীন কোনো বইয়ে ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না।

তো বন্ধুরা, জানতে ইচ্ছা হচ্ছে না, প্লেটো এই তথ্য কোথায় পেল?

প্লেটো তাঁর এই লেখার প্রমাণ হিসেবে সোলনের নাম উল্লেখ করেন। সোলন হলো বিখ্যাত গ্রীক কবি এবং এথেন্সের আইনসভার একজন সদস্য। এবার তাহলে আরেকটা প্রশ্ন তৈরি হলো। এই বিখ্যাত কবি সোলন এটা কি করে জানতে পারল?

আসলে প্লেটোর জন্মের আগে প্রায় ১৫০ বছর আগে সোলন মিশরের বিভিন্ন স্থানে ভ্রমণ করেছিলেন।


 সেখানকার এক স্থান নাম সেইস নগর। এখানে ভ্রমণ করার সময় তিনি এক পুরোহিতের সাক্ষাৎ পান। ওই পুরোহিত তাঁকে আটলান্টিস এর বিষয়ে ব্যাখ্যা দেয়। সেই পুরোহিত তাঁকে এর প্রমাণ দেখানোর জন্য মিসরের প্রাচীন এক মন্দিরে নিয়ে যায়। 


মন্দিরটি ছিল আশ্চর্যজনক। এই মন্দিরে তিনি অনেক পাণ্ডুলিপি দেখতে পান। ওই পাণ্ডুলিপির মধ্যেই এই আটলান্টিস কাহিনীর সম্পূর্ণ বিবরণ দেখতে পান। তিনি সম্পূর্ণ বিবরণটুকু পড়ে যা বুঝতে পারেন তা নিজ ভাষায় তাঁর নোটবইয়ে লিপিবদ্ধ করেন। তিনি সেই নোটবইয়ে লেখেন যে প্রায় ৯০০০ বছর আগে আটলান্টিস শাসকরা এথেন্স ও মিশরবাসির উপর যুদ্ধ ঘোষণা করে। তখন এথেন্সবাসী সম্মিলিতভাবে আটলান্টিস শাসকদের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করে মিসর ও এথেন্সকে রক্ষা করেছিল। এই সমস্ত বিবরন তিনি সুন্দরভাবে তাঁর নোটবইয়ে লিপিবদ্ধ করেন।

সোলনের লেখা বা লিপিবদ্ধ করা ওই বিবরণের নোটবই তাঁর মৃত্যুর পর তাঁর পরিবারেই থেকে যায়। এরপর আবার তাঁর পরিবারের ভবিষ্যৎ বংশধরের কাছে চলে আসে। এভাবে পরিবারের বিভিন্ন বংশানুক্রমের বিভিন্ন সদস্যের হাত ঘুরতে ঘুরতে একসময় তা চলে আসে প্লেটোর কাছে। প্লেটো সেই নোটবইয়ের লেখাগুলো সুন্দরভাবে তাঁর লেখা ২ টা বই টাইমাউস এন্ড ক্রিটিয়াস এ তুলে ধরেন।

কিন্তু অনেক পণ্ডিতই মনে করেন যে, প্লেটো প্রাচীন কোনো যুদ্ধ-বিগ্রহের কাহিনী শুনে এই কাহিনী তৈরি করেছেন।

অন্য কোনো লেখক হলে হয়তো এই কাহিনীকে পৃথিবীর মানুষ এককথায় কাল্পনিক কাহিনী বলত। কিন্তু ইনি যেই সেই লেখক নন। বিশ্ববিখ্যাত দার্শনিক সক্রেটিস এর ছাত্র এবং এরিস্টটলের গুরু। তাই এই কাহিনীকে এখনো পৃথিবীর মানুষ গবেষণা করে দেখছে।

বন্ধুরা তোমরা তো জানতে পারলে এই কাহিনীর প্রবর্তক কে? কিভাবে পেলেন এই কাহিনী?

কিন্তু বন্ধুরা, এই কাহিনীটা আসলে কি এবং কীরকম? এই আটলান্টিস এর শাসক কে ছিল? এর নাগরিক কে ছিল? কিভাবে ধ্বংস হলো এই আটলান্টিস? জানতে ইচ্ছা করছে, তাই না?

তাহলে কমেন্ট সেকশনে গিয়ে তোমাদের মূল্যবান মতামত তুলে ধর। আমি এর পরের পর্বে এই আটলান্টিস সম্পর্কে বিস্তারিত লেখার চেষ্টা করব।

ধন্যবাদ সকলকে।

তথ্যসূত্রঃ আটলান্টিস উইকিপিডিয়া

ইমেইজ ক্রেডিটঃ pexels.com

ইমেইজ ডিজাইনঃ canva.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ