Looking For Anything Specific?

ads header

আঙ্গুল কাটার রীতি

 

আমাদের এই পৃথিবীতে যে কত রকমের সংস্কৃতি আছে, আর তার মধ্যে কত রকমেরই যে অদ্ভুত সংস্কৃতি বিদ্যমান তার কোনো হিসাব নেই। 

এরকমই একটা অদ্ভুত সংস্কৃতি হলো ‘আঙ্গুল কাটার রীতি’।

বন্ধুরা ‘আঙ্গুল কাটার রীতি’ নামটি শুনেই বুঝতে পারছ যে, এটা কতটা বেদনাদায়ক। অথচ এটাও মানুষ মানে। আমাদের কাছে হয়তো এটা একটা বর্বর রীতি মনে হবে। কিন্তু যারা এটা মানে তাদের কাছে এটা যেন একটা স্বর্গীয় অনুভূতি। পৃথিবীতে যে এরকমও সংস্কৃতি আছে, তা কল্পনাতীত। 

তো এই রীতি আসলে কেন মানা হয়? কেই বা এই রীতি পালন করে? এসব প্রশ্ন মনে উদিত হচ্ছে নিশ্চয়ই। তো চল জেনে নেই এই রীতি সম্পর্কে। 

‘আঙ্গুল কাটার রীতি’ হচ্ছে ইন্দোনেশিয়ার একটা উপজাতির রীতি। উপজাতির নামটি হচ্ছে ‘দানি’ উপজাতি। 

পরিবারের আপনজন মারা গেলে মানসিকভাবে অনেকেই ভেঙ্গে পড়ে। মানসিক কষ্ট হয়। এটা একটা স্বাভাবিক নিয়ম। কিন্তু এই দানি উপজাতিদের কেও মারা গেলে এদের পরিবারের মহিলাদের কাছে এটা শুধু মানসিক যন্ত্রণা নয়, শারীরিক যন্ত্রণাও বটে। দানি উপজাতির মহিলারা প্রিয়জনদের মৃত্যুশোক প্রকাশ করেন শারীরিক যন্ত্রণার মাধ্যমে।

মহিলারা তাদের হাতের আঙ্গুল স্বেচ্ছায় কেটে ফেলেন মৃত্যুশোক দেখাতে। আঙ্গুল কাটার ফলে সৃষ্ট যন্ত্রণাকে মনে করা হয় প্রিয়জনদের হারানোর প্রতীক হিসেবে। তারা মনে করে যে যত আঙ্গুল কাটবে তার শোক তত বেশী। 

কিন্তু বন্ধুরা তোমরা কি মনে কর? এটা কি তারা ঠিক করে নাকি এখনও তারা আদিম যুগেই বাস করছে? এর উত্তর তোমরা নিচে কমেন্ট করে আমাকে জানাও।

আর হ্যাঁ, এরকম নিত্য নতুন অজানা তথ্য জানতে আমাদের ব্লগটিকে Follow কর।

ধন্যবাদ।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ