“ফ্রান্সিস ওয়েগনার নৌকা থেকে নেমে যেই মাত্র ওই ন্যাড়া দ্বীপে পা দিয়েছে তার কম্পাস উল্টা-পাল্টা দিক দেখাতে শুরু করেছে। হঠাৎ তার কম্পাসটি স্থির হয়ে যায়। পরে আবার কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু উল্টা পাল্টা দিক দেখায়।
এরপরে শুরু হয় আরও এক অদ্ভুত ভুতুরে কান্ড। তিনি কিছুদূর এগুতেই লক্ষ্য করলেন তার মাথা যেন হালকা হতে শুরু করেছে। তিনি যেন বাতাসে ভাসতেছেন। তাঁর শরীর এতই হালকা হয়ে যায় যে তিনি যেন কোনো এক অজানায় হারিয়ে যাচ্ছেন। তিনি ধীরে ধীরে অজানার কোনো এক মৃত্যুপূরীতে যেন চলে যাচ্ছেন। তিনি এক অদুভুত রহস্যে নিজেকে জড়াতে যাচ্ছেন, এটা তিনি বুঝতে পারলেন।
দ্বীপের আরও গভীরে যেতে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু, এই অজানা, অদ্ভুত, রহস্যজনক ভুতুরে কান্ড তাকে যেন ভীত করে তুলছে। তাই তিনি ভয়ে আর সেখানে থাকতে পারলেন না। জোর করে সেই অদ্ভুত অনুভবের মায়া কাটিয়ে ফিরে আসলেন তাঁর নৌকার কাছে।
কি অদ্ভুত ব্যাপার। যখনই তিনি ওই দ্বীপের ত্রিসীমানা পেরিয়ে নৌকার কাছে আসলেন, তাঁর কম্পাস আবার ঠিক হয়ে যায়। অর্থাৎ সঠিক দিক দেখাতে থাকে।
তিনি ভয়ে দ্রুত নৌকায় চেপে তাঁর সেনাসাউনিতে ফিরে যান। কিন্তু ফিরে গিয়েও তাঁর যেন সেই মোহ কাটেনি। তিনি বারবার ওই দ্বীপের কথাই মনে করতে থাকেন।
তাঁর সেই ভাবনা থেকে তিনি পরে আরও সেখানে যান। ১মে যখন তিনি সেখানে গিয়েছিলেন তখন কোনো প্রাণীকেই দেখতে পান নি। তাই তিনি মনে করলেন, হয়তো সেখানে কোনো প্রাণীই বাস করতে পারেন না।
তাঁর এই চিন্তাধারার প্রমাণ করার জন্য তিনি নিজেই সিদ্ধান্ত নিলেন। তিনি আবার গেলেন ওই দ্বীপে। কিন্তু এবার একা নয়। সাথে নিলেন সাঁতার কাটতে পারা কিছু প্রাণী। এসব প্রাণীকে তিনি তাঁর নৌকায় চেপে নিয়ে গেলেন ওই দ্বীপের পাশে থাকা খালে।
ওই খালটি ছিল বাল্ট্রা দ্বীপ ও সান্তাক্রুজের মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খাল। তিনি ওই খালে রেখে দিলেন তাঁর সাথে নিয়ে আসা প্রাণীদের।
কিছুক্ষণ পরেই তিনি লক্ষ্য করলেন অবাক করা একটি ব্যাপার। তাঁর রেখে দেওয়া প্রাণীগুলো খালের পাশে থাকা বাল্ট্রা দ্বীপ এর কাছে কেও আসে না, বরং বিপরীত পাশে থাকা সান্তাক্রুজের কাছে চলে যাচ্ছে। শুধু তাই নয়, আকাশের উড়ন্ত পাখিগুলো এই দ্বীপের কাছে এসেও ভেতরে কেও যাচ্ছে না। এমনকি যারা আকাশের উপর দিয়ে উড়ে বেড়াচ্ছে তারা যেন এই দ্বীপের কাছাকাছি আসতেই একটা অজানা দেওয়ালের সাথে ধাক্কা খেয়ে অন্যদিকে চলে যাচ্ছে। এসব কথা তিনি ফিরে এসে সবাইকে বলতে লাগলেন।
তাঁর কথা শুনেই বিজ্ঞানীরা বুঝতে পারলেন ওই দ্বীপে কিছু না কিছু রহস্য লুকিয়ে আছেই। এরপরে তারা সেই দ্বীপে বিভিন্ন তথ্য সংগ্রহ করতে গেলেন”।
বন্ধুরা তোমরা কি জানতে চাও এরপরে বিজ্ঞানীরা কি তথ্য সংগ্রহ করলেন? কি ধরনের ব্যাখ্যা দিলেন ওই দ্বীপ সম্পর্কে? আর ওই দ্বীপের আশেপাশে থাকা দ্বীপের মানুষেরাই বা ওই দ্বীপকে কেন মৃতদ্বীপ, মৃত্যুপুরী ইত্যাদি নামে অভিহিত করে?
যদি জানতে চাও, তবে এর ৩য় পর্বের জন্য অপেক্ষা কর। আর কমেন্ট করে তোমাদের মূল্যবান বাণী আমাদের সাথে শেয়ার করতে পার।
ধন্যবাদ সকলকে।
তথ্যসূত্রঃ bijan-o-bijani.co.in এবং বাল্ট্রা দ্বীপ উইকিপিডিয়া
ইমেইজ
ক্রেডিটঃ pexels.com
ইমেইজ
ডিজাইনঃ canva.com&remove.bg
0 মন্তব্যসমূহ