পৃথিবীর অজানা আর অদ্ভুত সব রহস্যের কথা শুনলে আমাদের গাঁ শিওরে উঠে। অজানা জিনিসের প্রতি সবারই একটা ঝোঁক থাকে। এই ঝোঁকের নেশায় কেও কেও বেরিয়ে পড়ে অজানার সন্ধানে। দীর্ঘকাল পাড়ি দিয়ে তারা আবিষ্কার করে নতুন এক অজানা রহস্য, যা পৃথিবীর মানুষ আগে জানত না। তাদের নাম স্মরণীয় হয়ে থাকে ইতিহাসের পাতায়। সেরকমই এক অজানাপিপাসুর নেশায় তাকে খুঁজে বের করতে সাহায্য করে “বাল্ট্রা দ্বীপ”।
So, welcome backs to our new article. বন্ধুরা স্বাগতম তোমাদের আজকের এই নতুন পর্বে। টাইটেল থেকে তোমরা নিশ্চয়ই বুঝতে পারছ, আজকের আলোচনা কি বিষয়ের।
হ্যাঁ, বন্ধুরা। আজকে “বাল্ট্রা দ্বীপ” সম্পর্কে আলোচনা করা হবে। এর অবস্থান, স্থানাঙ্ক, এর আবিষ্কার, রহস্য, বন্যপ্রাণী ইত্যাদি সম্পর্কে আলোচনা করা হবে এই পর্বে। তাই সম্পূর্ণ আর্টিকেলটি পড় আর তোমার মূল্যবান মতামত দিয়ে আমাদের সাহায্য কর।
বাল্ট্রা দ্বীপ রহস্যে ঘেরা একটি দ্বীপ। এর অবস্থান কোথায়, তোমরা কি জানো? না জানলে চল জেনে নিই।
অবস্থান, স্থানাঙ্ক ও বন্যপ্রাণীঃ এই দ্বীপটি গালাপাগোস দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত একটি ছোট দ্বীপ। এই দ্বীপপুঞ্জের কেন্দ্রে সমতল মাটিতে অবস্থিত এই বাল্ট্রা দ্বীপ। এটি ০˚২৭’ দক্ষিণ আর ৯০˚১৬’ পশ্চিম রেখায় অবস্থিত। এটাকে ন্যাড়া দ্বীপ বললেও ভুল বলা হয় না। কারণ তোমরা জানলে অবাক হবে যে এই দ্বীপ শুষ্ক টাইপের। গাছপালা নেই বললেই চলে। তাছাড়া কোন প্রাণীই থাকতে চায় না এই দ্বীপে। এটি যে দ্বীপপুঞ্জের অন্তর্গত, তার মোট দ্বীপ সংখ্যা ১৩ টি।
বাকি ১২ টি দ্বীপ এ ঠিকই বৃষ্টি হয়। কিন্তু এর উপর দিয়ে মেঘমালাগুলো মজা করে উড়ে গেলেও এর উপর এক ফোঁটা বৃষ্টির কণাও ফেলে না। মেঘমালা যেন এর শত্রু।
চল এবার জেনে নিই এর আবিষ্কার কে করল? আর কিভাবেই বা করল?
আবিষ্কারঃ সময়টা তখনকার, যখন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছিল। জানই তো সেই সময়টা কতটা ভয়ঙ্কর ছিল। আকাশ পথে বিমানবাহিনী ধ্বংসলীলা চালাচ্ছিল।
তখন জার্মানদের রুখতে ব্রিটিশ বাহিনী এই দ্বীপপুঞ্জের দ্বীপগুলোতে এয়ারবেস তৈরি করার চিন্তাভাবনা করে। যেই ভাবনা সেই কাজ। কাজ শেষ হলে, সেখানে সেনাবাহিনী পাঠানো হয়। সেই সেনাবাহিনীর একজন অফিসার ছিলেন ফ্রান্সিস ওয়েগনার ।
তিনি বিভিন্ন দ্বীপে যেতেন বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজ করার জন্য। কিন্তু তার ভাবনা ছিল অন্য। তিনি দ্বীপগুলোর সৌন্দর্যে বিমোহিত ছিলেন। তাই যখনই কাজের মাঝে সুযোগ পেতেন তখনই নৌকা চেপে তিনি বিভিন্ন দ্বীপপুঞ্জে ঘুরে বেড়াতেন। এতে তার মন মেজাজ ভালো থাকত। নিরিবিলি প্রকৃতির মাঝে তিনি যেন হারিয়ে যেতেন। তাঁর ঘুরাঘুরি, বিশেষ করে একা ঘুরতে তিনি অনেক বেশী ভালবাসতেন। তাই সময় পেলেই নৌকা বেয়ে বেয়ে তিনি এক দ্বীপ থেকে অন্য দ্বীপে যেতেন সৌন্দর্যের অনুসন্ধানে। এভাবে ঘুরতে ঘুরতে একদিন তিনি এসে পড়েন এই বাল্ট্রা দ্বিপের সামনে। তিনি ১মে এটা বিশ্বাসই করতে চান নি। কেননা এই দ্বীপ বাদে, এর আশেপাশের সব দ্বীপই সবুজ শ্যামলে ভরা। কিন্তু এই দ্বীপ একেবারেই শুষ্ক। এটা কি করে সম্ভব? এটাকে দেখলে মনে হয় এমন কোনো মানুষের মাথা এটা যার মাথায় চুল নাই, অর্থাৎ টাকলা। আমরা কথ্য ভাষায় যাকে বলি চান্দু।
তিনি ব্যাপারটা খুঁটিয়ে দেখার জন্য নৌকা থেকে অবতরণ করেন।
গুটি গুটি পায়ে তিনি সামনের দিকে এগুতে থাকেন। এগুতে এগুতেই শুরু হয়ে যায় ভুতুরে কান্ড। এমন ভুতুরে কান্ড তিনি আগে কখনো দেখেননি।
তিনি লক্ষ্য করলেন, যেই বাল্ট্রা দ্বীপের ত্রিসীমানায় পা দিয়েছেন অমনিই তাঁর কম্পাস উল্টা-পাল্টা দিক দেখাতে শুরু করেছে”।
শুধু তখনকার সময় নয়, এখনও এর উপর দিয়ে প্লেন উড়ে গেলে কম্পাসের দিক ঠিক থাকে না। আবার এই দ্বীপ পেরুলেই কম্পাস ঠিক হয়ে যায়।
কিন্তু কেন এমন ঘটে? আর কি কারণেই বা এই দ্বীপ এত রহস্যময়? আরও কি কি রহস্য লুকিয়ে আছে এই দ্বীপের মাঝে?
এইসব প্রশ্নের উত্তর জানব আমরা এর ২য় পর্বে।
বন্ধুরা তোমরাও কি জানতে চাও এর রহস্য সম্পর্কে? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাও।
আর ২য় পর্বের জন্য অপেক্ষা কর।
ধন্যবাদ সকলকে।
তথ্যসূত্রঃ
bijan-o-bijani.co.in
এবং বাল্ট্রা দ্বীপ উইকিপিডিয়া
ইমেইজ
ক্রেডিটঃ unsplash.com
ইমেইজ
ডিজাইনঃ canva.com
0 মন্তব্যসমূহ