আজকের দিনে যদি আমি কাউকে জিজ্ঞাসা করি যে, ‘মিসল্টো’ নামের কোনো গাছ চিনে কি-না? অনেকেই বলবে চিনি না।
তাই যারা জানোনা যে মিসল্টো গাছ কি জিনিস, তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।
তো বন্ধুরা স্বাগতম তোমাদের “মিরাজ অজানা” ব্লগের আরও একটি নতুন পোস্টে।
আমাদের পৃথিবীতে অজানা জিনিসের কোনো অভাব নেই। শুধু আমাদের জানারই অভাব আছে। এই অভাব দূর করে তোমাদের কাছে অজানা জিনিস, তথ্য পৌঁছে দেওয়ার জন্যই আমাদের এই ব্লগ। তাই যারা আমাদের সর্বশেষ অজানা তথ্য জানতে চাও তারা অবশ্যই আমাদের ব্লগটিকে Follow কর।
এবার মূল পর্বে আসা যাক। আজকের আলোচনা হচ্ছে মিসল্টো গাছকে কেন পবিত্র মনে করা হয়?
তো শুরু করছি আজকের আলোচনা।
বর্তমান কালে এই মিসল্টো কিসের গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচিত হয় তোমরা কি তা জানো?
এই মিসল্টো গাছ বর্তমানে যে ক্রিসমাস( বড়দিনে যে গাছ সাজানো হয়) গাছ দেখা যায়, তার গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
তবে প্রাচীনকালে এই গাছকে ধর্মীয় ক্রিয়াকর্মে ব্যবহার করত কেল্টিক ধর্মীয় নেতারা। কেননা এই গাছ ছিল ধর্মীয় ক্রিয়াকর্মে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। তাই এটি তাদের কাছে এক পবিত্র গাছ এবং এর ফুলও পবিত্র তাদের কাছে।
শুধু তাই নয়, আরও বেশ কিছু কারণ আছে, এর পবিত্রতা সম্পর্কে। নিচে এগুলো দেওয়া হলোঃ
১। সূর্যদেবতার সংস্পর্শ আছেঃ
কেল্টিক ধর্মীয় নেতারা মনে করত যে তাদের সূর্যদেবতা “টারানিস” এর সংস্পর্শ আছে এই গাছের সাথে। শুধু তাই নয় যে গাছে নাকি এটা জন্মায় বা যে ডালে নাকি এটা ছড়িয়ে পড়ে সেই গাছও সূর্যদেবের সংস্পর্শে চলে আসে। তাই এই মিসল্টো গাছ তাদের কাছে অনেক পবিত্র।
২। রোগের ঔষধ হিসেবে মনে করেঃ
শীতকালে আমরা জানি যে, সূর্য তখন দূরে থাকে বলে তাপ কম লাগে। এমন সময় কেল্টিক ধর্মীয়যাজক সাদা কাপড় পড়তেন। তারপরে একটি দা বা কাস্তে নিয়ে উঠে পড়তেন ওক গাছে। সেখানে উঠে তাঁরা মিসল্টো গাছ কেটে নামাতো।
তাঁরা মনে করত, শুধু মনেই নয়, দৃঢ় বিশ্বাস করত যে এই গাছে জাদুকরী ক্ষমতা আছে। ফলে তাঁরা এটা নিম্নোক্ত কাজে ব্যবহার করত-
ক) যেকোনো অসুখ হলে এর একটি অংশই নাকি তীরের মতো কাজ করত বলে এটা তাঁরা ব্যবহার করত।
খ) বিষের বিরুদ্ধে নাকি এটি কাজ করে বলে এটা তাঁরা বিষক্রিয়া দূর করতে খেত। কিন্তু আসলে তোমরা কি জানো এই গাছ কতটা ভয়ংকর? এই গাছের কোনো অংশ পেটে গেলে বিষাক্ত হয়ে যায়। অথচ, তারা কি বোকা। তারা বিষ তাড়ানোর জন্য যা ব্যবহার করে, সেটাই তাঁদের আরও বিষাক্ত করে তোলে। ফলে মৃত্যু তো ঘটবেই।
গ) মানব শরীরে যদি কোনো অশুভ আত্মা প্রবেশ করে, তা দূর করতে নাকি এটা তারা ব্যবহার করত। কিন্তু আত্মার বিশ্বাস বৈজ্ঞানিক যুক্তি দ্বারা কোনোভাবেই প্রমাণিত নয়।
তো বন্ধুরা কেমন লাগলো তোমাদের এই মিসল্টো গাছটি? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে।
আর এরকম নিত্য নতুন অজানা তথ্য পেতে আমাদের ব্লগটিকে Follow কর।
ধন্যবাদ সকলকে।
0 মন্তব্যসমূহ