Looking For Anything Specific?

ads header

বিস্ময়কর "সূর্যের দরজা"



হেই বন্ধুরা সূর্যোদয়ের দেশ, জাপানকে তো চেন সবাই, কিন্তু সূর্যের গেট কি তা জানো নাকি? অনেকেই বলবে সূর্যেরও আবার গেট হয় নাকি? সূর্য তো ইয়া বড় একটা গোলক, এর দরজা থাকবে কোন পাশে? সূর্য তো সব পাশেই কিরণ দেয়। এর দরজা থাকলে তো এক পাশেই কিরণ আসতো, তাই না?

এরকম নানা প্রশ্নের মুখোমুখি হতে হচ্ছে। একবার ভেবে দেখ দেখি, আমি যখন বললাম সূর্যোদয়ের দেশ জাপান, তখন তো কেও প্রশ্ন করলা না যে, সূর্যোদয়ের দেশ জাপান কেন হবে?

এর কারণ, জাপানে সবার প্রথমে সূর্য দেখা যায় বলে একে সূর্যোদয়ের দেশ বলে। তেমনি পৃথিবীতে এমন একটা দরজা আছে যেটাকে সূর্যের দরজা বা সূর্যের গেট বলা হয়।

এই সূর্যের গেট নামে খ্যাত স্থানটি কোথায় অবস্থিত তোমরা কি তা জানো?

অনেকেই হয়তো জানো না। এই সূর্যের গেট অবস্থিত বলিভিয়া দেশের লা পাজ প্রদেশের তিওয়ানাকো অঞ্চলে।

এই গেটের রহস্য শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে। এর রহস্য আজ পর্যন্ত কোনো গবেষক বা বিজ্ঞানী উন্মোচন পুরোপুরিভাবে করতে পারে নি। এটা যে কত পুরনো তাও কেও জানে না।

তো চল এবার রহস্যটা শুনা যাক।

এই দরজার মধ্যে প্রাগৈতিহাসিক অনেক প্রাণীর চিত্র পাওয়া যায়। তার মধ্যে ১২০০ বছরের পুরনো প্রাণী টক্সেডেনের চিত্রও ছিল। এটি একটি স্তন্যপায়ী প্রাণী এবং এটি দক্ষিণ আমেরিকায় বাস করত।

আরও বিস্ময়কর ব্যাপার হচ্ছে, এখানে বছর হয় ২৯০ দিনে। কি অবাক হচ্ছ? আসলে এখানে যে ক্যালেন্ডার দরজার সাথে প্রাচিন ঐতিহ্য বহন করে তাতে ২৯০ দিনে বছর লেখা আছে।

কিন্তু আমাদের তো ৩৬৫ দিনে এক বছর হয়, এই জায়গাটাও তো পৃথিবীর একটা অংশ, তাহলে সেখানে ২৯০ দিনে বছর হয় কি করে?

এক গবেষণায় জানা গেছে যে, এটি আসলে শুক্র গ্রহের ক্যালেন্ডার। আবার কারো কারো মতে একসময় হয়তো পৃথিবীর অন্য সময় ছিল।

এর ফলে অনেকেই বিশ্বাস করতে শুরু করে যে, এখানে হয়তো একদিন অন্য গ্রহের কোনো প্রাণী বাস করত। আমাদের ভাষায় যাকে আমরা এলিয়েন বলি। 

কারো কারো বিশ্বাস যে এখানে হয়তো ভীনগ্রহিদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে সূর্যের দরজা তৈরি করা হয়েছে।

কিন্তু আসলে কোনটা যে সত্য? তা আজ পর্যন্ত কেও উন্মোচন করতে পারেনি। ফলে এর রহস্য অনেকটায় কুয়াশার মতো ঝাপসা হয়ে আছে।

বাদ দিই সেসব কথা। ২০০০ সালে ইউনেস্কো তিওয়ানাকো অঞ্চলকে বিশ্ব ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে ঘোষণা করে। 

কিন্তু এর গঠন প্রণালী কেমন? জানতে ইচ্ছা করছে, তাই না?

তো চল শুরু করা যাক।

পশ্চিম বলিভিয়ার তিওয়ানাকো অঞ্চলে অবস্থিত সূর্যের গেট নামে খ্যাত এই অঞ্চলটি। এই অঞ্চলে প্রবেশদ্বার হিসেবে যে দরজাটা বানানো হয়েছিল সেটাই হলো সূর্যের গেট। অনেক গবেষক গবেষণা করে বলেন যে, এটি বানানো হয়েছিলো সবুজ- ধুসর রঙের পাথরের তলদেশ থেকে। কিন্তু সেটা কত পুরনো তা আজ পর্যন্ত কেও বলতে পারেনি।

এই দরজার উচ্চতা ৩ মিটার এবং দৈর্ঘ্য ৪ মিটার। এর বেধ প্রায় ১/২ মিটার। আর এর ওজন প্রায় ৪৪ টন। এই দরজাটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩৮০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত।

তো বন্ধুরা কেমন লাগলো আজকের এই রহস্যময় দরজার সম্পর্কে লেখাটি? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে।

আর নিত্য নতুন অজানা তথ্য পেতে আমাদের ব্লগের পাশে থাকিও।

ধন্যবাদ সকলকে।

তথ্যসূত্রঃ bn.everaoh.com&bd.pratidin.com 

ইমেইজ ক্রেডিটঃ pexels.com

ইমেইজ ডিজাইনঃ canva.com


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ