অজানা অনেক রহস্য রয়েছে আমাদের এই পৃথিবীতে। এতসব রহস্য সবসময় মনে থাকে না, সেইসব রহস্য ভেদ করাও অনেক সময় সম্ভব হয় না। ফলে সেইসব রহস্যকে অনেক মানুষ ভৌতিক বা অলৌকিক স্থান বলে আখ্যায়িত করে।
এমনই এক রহস্যময় স্থান রয়েছে বাংলাদেশে। বন্ধুরা তোমরা নিশ্চয়ই টাইটেল দেখে বুঝতে পেরেছ আমি কোন জায়গা বা স্থান সম্পর্কে বলতে চাচ্ছি।
হ্যাঁ, বন্ধুরা আমি “বগা” লেকের কথা বলছি। এই লেক সম্পর্কে লোকমুখে অনেক কাল্পনিক কাহিনী শুনা যায়। তবে সেইসব কাহিনী আজ নয়, অন্য কোনদিন বলব।
আজ শুধু এর অবস্থান, উৎপত্তি এবং এর আয়তন সম্পর্কে আমরা জানব।
তো চল বন্ধুরা শুরু করি “বগা লেক” সম্পর্কে লেখা।
অবস্থানঃ
আমরা জানি, বাংলাদেশের সৌন্দর্যের লীলাভূমি হচ্ছে “বান্দরবান”। এখানে আছে প্রকৃতির সুন্দর সব প্রাকৃতিক স্থান, যার মধ্যে অনেক রহস্য লুকিয়ে আছে। সেরকমই এক স্থান হলো এই “বগা লেক”। লোকমুখে এটি বগা লেক নামে প্রচলিত হলেও, এর আসল নাম “বগাকাইন হ্রদ”। বাংলাদেশের সর্বোচ্চ উচ্চতার স্বাদু পানির হ্রদ এটি। তো এই হ্রদ বা লেক এর অবস্থান বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলায়।
বান্দরবান জেলা থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে রুমা উপজেলা অবস্থিত। এই উপজেলার পূর্ব দিকে শঙ্খ নদী অবস্থিত। তো শঙ্খ নদীর তীর থেকে প্রায় ২৯ কিলোমিটার অভ্যন্তরে একটি মৌজা আছে। মৌজার নাম “নাইতং মৌজা”। এই মৌজার “পলিতাই পর্বতশ্রেণির” অন্তর্গত একটি পাহাড়ের চূড়ায় এর অবস্থান। এটি “কেওক্রাডং” পাহাড়ের গাঁ ঘেঁষে অবস্থিত।
আয়তনঃ
সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে রুমা উপজেলার উচ্চতা প্রায় ১২৪৬ ফুট, যা মিটারে হিসাব করলে হবে ৩৮০ মিটার। আবার ফানেল আকৃতির একটি ছোট পাহাড়ের বগা লেকের অদ্ভুত গঠন লক্ষ্য করা যায়। সেখানে সেটা দেখতে অনেকটা “আগ্নেয়গিরির” জ্বালামুখের মতো দেখায়, যার ফলে একে অনেকেই ড্রাগন হ্রদ বলে আখ্যায়িত করে।
এটা একটা আবদ্ধ হ্রদ এবং এটি প্রায় ১৫ একর জায়গা জুড়ে বিস্তৃত। এর পৃষ্ঠতলীয় উচ্চতা ২৪০০ ফুট। আর এর গড় গভীরতা প্রায় ১২৫ ফুট, যা মিটারে হিসাব করলে হয় প্রায় ৩৮ মিটার।
উৎপত্তিঃ
এর উৎপত্তি নিয়ে বেশ কিছু মতবাদ আছে। যেমনঃ
১) ভূতাত্ত্বিকগণের অনেকেই বলেন যে, এটি আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
২) কারো কারো মতে এটি মহাকাশ থেকে পতিত কোনো উল্কাপিণ্ড থেকে সৃষ্টি হয়েছে।
৩) আবার কেও কেও বলেছেন, ভূমিধ্বসের কারনেও এটি সৃষ্টি হতে পারে।
গঠনঃ
উইকিপিডিয়া থেকে প্রাপ্ত, এটি “ভুবন স্তরসমষ্টির” নরম শিলা দ্বারা গঠিত।
২০০৯ সালের গবেষণা রিপোর্ট থেকে জানা যায়, এর পানি বেশ সুপেয়। এই হ্রদে প্রচুর শ্যাওলা, শাপলাসহ অন্যান্য জলজ উদ্ভিদ বিদ্যমান। মাছও আছে । এমনকি বিশালাকার মাছেরও দেখা মিলেছে এই হ্রদের পানিতে।
তো বন্ধুরা “বগা লেক” সম্পর্কে তো অনেক কিছুই জানা হলো।
তোমাদের জানতে ইচ্ছা করে না এর কাল্পনিক বিষয় সম্পর্কে?
জানলে অবাক হবে যে, এটিতে একসময় ড্রাগন বাস করত। নাগরাজও বাস করত এখানে। কেন এগুলো ধংস হলো? জানতে ইচ্ছা করছে তাই না?
যদি এই সম্পর্কে জানতে চাও, তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাও।
আর হ্যাঁ, আমাদের ব্লগটিকে Follow করে রাখ, যেন এই হ্রদের ড্রাগন, নাগরাজ সম্পর্কে লেখা প্রকাশিত হলে, সবার আগে তোমরা পেয়ে যাও।
ধন্যবাদ সকলকে।
তথ্যসুত্রঃ বগাকাইন হ্রদ উইকিপিডিয়া
ইমেইজ ক্রেডিটঃ pexels.com&unsplash.com
ইমেইজ ডিজাইনঃ canva.com
1 মন্তব্যসমূহ
Bangladesh একটি সুন্দর বিচিত্র দেশ।
উত্তরমুছুন