Looking For Anything Specific?

ads header

চাঁদের সবচেয়ে দামী জমির মূল্য "হাজার কোটি টাকা"


ডেনিস হোপের কাছ থেকে সাধারণ চাকুরীজীবী থেকে শুরু করে বড় বড় তারকারাও চাঁদে জমি কিনছে। সবচেয়ে কম জমির পরিমাণ ১ একর। আর চাঁদের সবচেয়ে বেশী বৃহৎ আকৃতির জমিটিতে জমির পরিমাণ ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ একর। কিন্তু এই জায়গা কেনার কোনো ক্রেতা পাননি ডেনিস হোপ। যাই হোক আজকে আলোচনা করা হবে, ডেনিস হোপ সবচেয়ে বেশী জমি কাকে বিক্রয় করেছেন? কতজন তারকা তাঁর কাছ থেকে জমি কিনেছে? সবচেয়ে বেশী দামি জমি কোনটি? এসব প্রশ্নের উত্তরসহ চাঁদে জমি কেনা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।  

সেই ১৯৬৯ সালে নীল আর্মস্ট্রং ও অল্ড্রিন ১ম চাঁদের বুকে অবতরণ করেন। চাঁদের বুকে এটিই ১ম মানুষের যাত্রা। 


তো যারা ১মে চাঁদের মাটিতে পা রেখেছিল, তারা তো ওই চাঁদের মালিকানা দাবি করতে পারতো। করেনি কেন?

কারণ, সেই স্নায়ুযুদ্ধের সময় থেকেই মহাকাশের বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহ নিয়ে প্রভাবশালী দেশগুলোর মধ্যে প্রতিযগিতা ছিল প্রচুর। যখন নাসা ১ম চাঁদের বুকে মনুষ্যবিহীন যান পাঠানোর পরিকল্পনা করেছিল, তখন বিপদ সম্মুখ দেখে জাতিসংঘের বেশ কিছু বড় দেশ একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে। এই চুক্তিটি কি? তা পরের পর্বে আলোচনা করা হবে। শুধু এই চুক্তিই নয়, আরও বেশ কিছু চুক্তি আছে মহাকাশের বস্তুসমূহের মালিকানা নিয়ে। সেগুলোও এর পরের পর্বে আলোচনা করা হবে? তো এইসমস্ত চুক্তির অসম্পূর্ণতা বের করে ডেনিস হোপ চাঁদের মালিকানা নিয়ে নেন। আর চাঁদের মাটি বিক্রি করতে শুরু করেন।

আমি এর আগের পর্বে একজন বাংলাদেশী ক্রেতার নাম উল্লেখ করেছিলাম, আরও করেছিলাম ডেনিস হোপ কি করে চাঁদের জমি বিক্রয় করছেন? যারা সেটি পড় নি তারা সেটা পড়ে আসতে পারো। তোমাদের সুবিধার্থে আমি এর আগের পর্বটির লিংক নিচে দিয়ে দিচ্ছি।

১ম পর্ব

আজকে আরও একজন ক্রেতার নাম দিয়ে বিষয়টা বুঝানোর চেষ্টা করব।

বলিউড অভিনেতা নাম সুশান্ত সিং রাজপুত। তাঁর দক্ষতা শুধু অভিনয়েই সীমাবদ্ধ ছিল না, বরং; কোয়ান্টাম ফিজিক্স, স্টেইসিজম এবং অ্যাস্ট্রোলজিতেও অগাধ জ্ঞান ছিল তাঁর। সম্প্রতি এক খবরে জানা গেছে, সেই বলিউড অভিনেতা, সুশান্ত চাঁদে জমি কিনেছেন। জমির নাম ‘সি অব মাস্কোভি’

তাঁর মতো প্রায় ৬৭৫ জন নামী তারকা ডেনিস হোপের কাছ থেকে চাঁদের জমি কিনেছেন। ক্রেতাদের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের তিন জন সাবেক প্রেসিডেন্টও আছেন। তাঁদের নাম জর্জ ব্রুশ, জিমি কার্টার ও রোনাল্ড রিগ্যান

১ম পর্বেই বলেছি চাঁদের প্রতি একর মাটির দাম ২৪.৯৯ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত। এর থেকে বেশী দামের জমিও আছে। এক একটি মহাদেশের সমান সেই জমির দাম প্রায় ১৪ কোটি ডলারের কাছাকাছি। তবে জমি যেরকমই হোক না কেন, সব জায়গা থেকে পৃথিবীকে সমানভাবে দেখা যাবে। এটা হোপ নিশ্চিত করে বলেছেন।

হোপ তাঁর ওয়েবসাইটে আরও জানিয়েছেন যে, চাঁদের সবচেয়ে বৃহদাকৃতি জমির অংশটিতে যে পরিমাণ জমি রয়েছে, তা হলো ৫৩ লাখ ৩২ হাজার ৭৪০ একর। কিন্তু সেই জমির ক্রেতা এখনো পাননি হোপ। তাঁর ওয়েবসাইট থেকে আরও জানা গেছে, বেশী চাহিদা রয়েছে ১৮০০-২০০০ একরের জমিগুলোতে। এমনকি ম্যারিয়েট হিলটনের মতো বেশ কিছু হোটেলও জমি কিনেছে তাঁদের কাছ থেকে।

হোপের সংস্থাটির নাম লুনার এমবাসি। এর বাংলা অর্থ চন্দ্র দূতাবাস। চাঁদে যে হোপের জায়গা জমি আছে, তা দেখভাল করাই হচ্ছে এই সংস্থাটির প্রধান দায়িত্ব। এই সংস্থার সিইও হচ্ছেন হোপ নিজেই। এখানে সিইও এর অর্থ কিন্তু অন্য। এর অর্থ সেলেসচিয়াল এগজিকিউটিভ অফিসার। এর বাংলা অর্থ মহাজাগতিক বিশেষ অধিকর্তা। কিন্তু হোপ নিজেকে চাঁদের মালিক বলেই পরিচিত হতে বেশী পছন্দ করেন। চাঁদের জমির ব্যাবসার বুদ্ধি এবং রসদ হোপ পেয়েছেন তাঁর রাষ্ট্রবিজ্ঞানের জ্ঞানের দৌলতে। এর পরের পর্বে দেখাবো মহাকাশ নিয়ে করা চুক্তিগুলোতে কিছু অসম্পূর্ণতা ছিল, যা অসাধু ব্যাসায়িরা কাজে লাগিয়ে চাঁদের জমি বিক্রয় করছে।

তো তিনি যে জমি বিক্রি করছেন, তা কি ভবিষ্যতে ক্রেতারা সত্যিই পাবে?
সত্যিই কি চাঁদের জমি ক্রেতাদের বংশপরম্পরায় থেকে যাবে?
নাকি তিনি লোকদেরকে চাঁদের জমির কথা বলে, হাওয়া বিক্রি করছেন?
আন্তর্জাতিক চুক্তিগুলো চাঁদের মালিকানা সম্পর্কে কি বলে?
আইন কি বলে?
চাঁদের জমির মালিকানা আদৌ কেউ হতে পারবে কি না?
যারা চাঁদে জমি কিনছে, তারা কি চালাক, নাকি সবচেয়ে বড় বোকা?
এইসমস্ত প্রশ্নের উত্তর তোমরা এর ৩য় পর্ব, তথা শেষ পর্বে দেখতে পাবে।

So, তোমরা কি ৩য় পর্বটি পেতে চাও? আর আজকের পর্বটিই বা কেমন লাগলো? অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবে।

এতক্ষণ সাথে থাকার জন্য সকলকে ধন্যবাদ।

তথ্যসূত্রঃ প্রথম আলো ও যুগান্তর

ইমেইজ ক্রেডিটঃ pexels.com

ইমেইজ ডিজাইনঃ remove.bg & canva.com

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

1 মন্তব্যসমূহ