Looking For Anything Specific?

ads header

কোন প্রাণীর ৩টি হৃদপিণ্ড বিদ্যমান?



বন্ধুরা, তোমরা কি জানো, এমন একটা প্রাণী আছে, যার ৩টি হৃদপিণ্ড বিদ্যমান- যার দুইটি হৃদপিণ্ড মাথায় রক্ত সরবরাহ করে আর বাকি হৃদপিণ্ডটি সারা দেহে রক্ত সরবরাহ করে? অনেকেই জানো আবার অনেকেই জানো না। সেই প্রাণীটা আর কেউই নয়, আমাদের চেনা পরিচিত একটা সামুদ্রিক প্রাণী। যার নাম অক্টোপাস।

অক্টোপাস কি? কে জানে না যে অক্টোপাস একটা প্রাণী? আমরা কম বেশী প্রায় সবাই জানি যে অক্টপাস একটা প্রাণী। এটা একটা সামুদ্রিক প্রাণী। এই প্রাণীটি মলাস্কা ফাইলামের অন্তর্ভুক্ত। অর্থাৎ, আমরা বলতে পারি, এই অক্টোপাস শামুক-ঝিনুকেরই জাত ভাই। কারণ কি? কারণ, এই মলাস্কা ফাইলামের অন্তর্ভুক্ত প্রাণীদের মধ্যে শামুক আর ঝিনুকও রয়েছে।

তো যাই হোক, আজকে আমি অক্টোপাসের সম্পর্কে সংক্ষেপে কিছু কথা বলব। অক্টোপাস কি, কি রকম দেখতে, এর আকৃতি কেমন ইত্যাদি ইত্যাদি। চল দেড়ি না করে শুরু করা যাক।

অক্টোপাস নামটির মধ্যেই বুঝা যাচ্ছে, এর পা ৮ টি। অক্টোপাস নামটি নেওয়া হয়েছে গ্রিক ভাষা থেকে। গ্রিক শব্দ Oktapous (মানে ৮ পা ওয়ালা জন্তু) থেকে এই প্রাণীর নামকরণ করা হয়েছে অক্টোপাস। কারণ, অক্টোপাসের ৮টি পা বা শুঁড় আছে। আর এই ৮টি পা বা শুঁড় যাই বলি না কেন, এগুলো অক্টোপাসের মাথার ঠিক পিছনেই রয়েছে। আর তাই এরা সেফালোপোডা বা “মস্তক পদ” শ্রেণির অন্তর্ভুক্ত। অক্টোপাসরা সাধারণত বেশী বড় হয় না। এরা সর্বচ্চো ৪.৫ ফিট হয়ে থাকে। আর বেশিরভাগ অক্টোপাসের গড় ওজন প্রায় ১০ কেজি হয়ে থাকে। তবে ডলফিন অক্টোপাস অনেক বড় হয়। এদের দৈর্ঘ প্রায় ৩০ ফিট পর্যন্ত হয়ে থাকে। আর ওজন স্বাভাবিক মানুষের থেকে প্রায় ৫ গুণ বেশি। অর্থাৎ, প্রায় ২৭৫ কেজির মতো হয়ে থাকে। কিন্তু, এসব অক্টোপাস সমুদ্রের সব জায়গায় পাওয়া যায় না। এশিয়ার প্যাসিফিক অঞ্চলে এই জায়ান্ট অক্টোপাস পাওয়া যায়।

সমুদ্রের বিভিন্ন অঞ্চলে এই অক্টোপাসেরা বাস করে। অগভীর কিংবা গভীর সমুদ্রতল বা কোরাল শৈলশিরা সহ সমুদ্রের বিভিন্ন অঞ্চলে এদের বাস। তোমরা জেনে রাখ যে, এদের প্রায় ১৫০টির মতো প্রজাতি রয়েছে। আর বেশিরভাগ প্রজাতিই দ্রুত বেড়ে উঠে এবং খুব কম বয়সেই এরা আবার মৃত্যুবরণ করে। তবে এরই মাঝে তাদের বংশবিস্তার ঘটে। বংশবৃদ্ধির সময় পুরুষ অক্টোপাস তাদের একপ্রকার বিশেষ শুঁড় দিয়ে তাদের শুক্রানু স্ত্রী অক্টপাসে স্থানান্তরিত করে। আর স্ত্রী অক্টোপাস বাচ্চা দেওয়ার জন্য ডিম পারে। আরেকটা জিনিস লক্ষ করা যায়। এরা ধীর গতি সম্পন্ন। 

আমাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিন রয়েছে। তাই আমাদের রক্ত লাল হয়। কিন্তু অক্টোপাসের শরীরের রক্তে হিমোছায়ানিন থাকে। তাই এদের রক্ত লাল না হয়ে নীল হয়। এরা শিকারিদের হাত থেকে বাঁচতে কালি ছুড়ে মারে। কখনো ছদ্মবেশ ধরে। আবার কখনো রং পালটিয়ে নেয়। মাঝে মাঝে ভীতিও প্রদর্শন করে।

বন্ধুরা, এতো গেলো অক্টোপাসকে নিয়ে সাধারণ এবং খুবই সংক্ষেপে আলোচনা। এই অক্টোপাসকে নিয়ে পূর্ণ আলোচনা করতে গেলে হয়তো আমি একা কখনোই করতে পারব না। তাই আমার এই লেখায় আরও কি কি জিনিস Add করা দরকার বা কি কি জিনিস আমি ভুলবশত লিখে ফেলেছি, তা কমেন্ট করে জানাতে পারো। তোমাদের কমেন্ট আমার, আমার সাইটের মেম্বারদের, আমার সাইটের পাঠকদের আরও কিছু জ্ঞান দিতে সক্ষম হবে। তাই কমেন্ট অবশ্যই করবে।

ধন্যবাদ সকলকে।


একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ